শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে - সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে - সজীব ওয়াজেদ জয়

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত মাসে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, "এটি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।"


গত মাসে রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সজীব দাবি করেন যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হবেন এবং আওয়ামী লীগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। বাংলাদেশে গণআন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার বিচার দাবি করছে।


জয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, "এ মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে চাই। ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে, সেটিকে আমি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।"


বাংলাদেশে আগামী দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলার পর সেনাপ্রধানের মন্তব্যের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সজীব। তিনি বলেছেন, "আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কার্যকর কোন সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব।" তিনি আরও যোগ করেন, "নির্বাচনের সময়সূচি আরো আগেই প্রত্যাশিত ছিল।"


সোমবার, রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, "বাংলাদেশে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত," তবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।


সজীব এ প্রসঙ্গে বলেন, "শেষ পর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা পেয়েছি, এতে আমি খুশী। কিন্তু আমরা একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকারকে সংস্কারের কথা বলতে দেখতে পাচ্ছি, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে।"


শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বাহিনী কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না, যার ফলে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করেছে। তবে সজীব অতীতের সেনা অভ্যুত্থানের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, "দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে কোন গ্রহণযোগ্য সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব।"


সর্বশেষ তিনি বলেন, "এটা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্ভর করছে যে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে নাকি তাদের মতো করে নির্বাচন আয়োজন করবে।"