
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪৮

বাড়ি ফিরছে ৯ ইঞ্চির ছোট্ট শিশুটি। গত বছরের জুলাই মাসে মাত্র ১১ আউন্স ওজন নিয়ে পৃথিবীতে পা রাখে কনোর। আরও ভালো করে বললে কনোরের আকার ছিল মানুষের হৃদপিণ্ডের মতো আর ওজন? একটা সোডা ক্যানের থেকেও কম।চিকিৎসকরা বলছেন এই ঘটনা খুব বিরল। তারা বলেন, জন্ম নেওয়ার মতো আকারই ছিল না কনোরের। জন্মের পরে কনোরের বাবা নিজের এক হাতের তালুতে ধরে রাখতে পারতেন তাকে। নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে ব্লাইথেডেল চিলড্রেন হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধান ডেনিস ডেভিডসন বলেন, কনোর সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেঁচে থাকা সবচেয়ে ছোট সন্তানদের মধ্যে একজন।

জরুরি সি-সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি হয় কনোরের। মারিয়া ফেরারি চিলড্রেন হাসপাতাল নবজাতকদের আইসিইউতে পাঁচ মাস রাখা হয় তাকে। পরে ব্লাইথেডেল চিলড্রেন হাসপাতালে রাখা হয় আরও চার মাস। জ্যামি ফ্লোরিওর গর্ভধারণের ২৫তম সপ্তাহে চিকিৎসকরা তাকে বলেন যে, কনোরের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে না এবং জ্যামিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জ্যামির প্ল্যাসেন্টারের মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল যে কারণে কনোর স্বাভাবিকভাবে পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারছিল না। এক সপ্তাহ পরেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে একটি জরুরি সি-সেকশন প্রয়োজন। জ্যামি ফ্লোরিও বলনে, আমরা জানতাম যে এটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবু ও যা যা করা সম্ভব তাই তাই করব বলে ঠিক করলাম। যদিও কনোর ২৫ সপ্তাহের ভ্রূণের আকারের ছিল। ওই অবস্থাতেও জন ফ্লোরিওর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত সুস্থ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে তাদের সন্তান।

ইনিউজ ৭১/এম.আর