ভোলার লালমোহনে অসুস্থ্য একটি ঈগল পাখিকে সুস্থ্য করে তুলতে প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন মোরশেদ আলম সুজন নামের এক যুবক। গত পাঁচ দিন ধরে ওই ঈগল পাখিটিকে ডান পাশের ডানা ভাঙা, পা ফোলা ও জ্বরসহ গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করেন সে।
বর্তমানে উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চৌমুহনী বাজারের নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে পাখিটির চিকিৎসা চালাচ্ছেন যুবক মোরশেদ আলম সুজন।
বাড়ি থেকে এনে গরু, হাঁসের মাংস ও মাছ খাওয়াচ্ছেন তিনি। সুজনের এমন উদারতায় মুগ্ধ এলাকাবাসীও। এরআগে গত বছর একটি অসুস্থ্য বন বিড়াল উদ্ধার করে অবমুক্ত করেন তিনি।
মোরশেদ আলম সুজন ঢাকাস্থ লালমোহন থানা ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকার মুজিবল হক মাষ্টারের ছেলে।
যুবক মোরশেদ আলম সুজন বলেন, গত পাঁচ দিন আগে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ব্যাপারী বাড়ির একটি পুকুরে মাছ শিকার করে ঈগলটি ফেরার সময় ওই বাড়ির বাচ্চারা ইট নিক্ষেপ করে ঈগলটিকে গুরুতর অসুস্থ্য করে।
এতে ঈগলটির ডান পাশের ডানা ভেঙে যায় এবং পায়ে গুরুতর জখম হয়। এরপর বাচ্চারা ঈগলটিকে বাজারে এনে খেলা করে, আমি দেখে সেটিকে উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর ঈগলটির চিকিৎসা শুরু করি।
২০১৭ সালে সাভারের শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পশু-পাখির চিকিৎসা বিষয়ে ৩ মাসের একটি কোর্চ সম্পন্ন করেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঈগলটির চিকিৎসা করেছি। বর্তমানে ঈগলটির অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো রয়েছে।
পুরোপুরি সুস্থ্য হলে বনে অবমুক্ত করে দিবো। আমি মনে করে প্রকৃতি রক্ষায় এসব পাখিকে আমাদের সকলের টিকিয়ে রাখা উচিত।
এব্যাপারে উপজেলা রেঞ্জ বন কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন, আমরা ওই যুবকের কাছ থেকে ঈগলটিকে এনে চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য করে বনে অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।