প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে পুনরায় জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে প্রতিটি হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও আলোচনার আশ্বাস দেন।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা হলে পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— কেন কমিটি দেওয়া হয়েছে তার জবাব উপাচার্যকে দিতে হবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ বিদ্যমান গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এলাকায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে, হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে ছাত্রদলের হল ইউনিট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হল ও একাডেমিক এলাকায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এই কমিটি ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিকেল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত বাড়ার সাথে সাথে বিক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠে এবং রাত ১২টার পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন।
পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং সেখানে ব্যাপক হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে যে, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী প্রকাশ্য ও গুপ্ত— উভয় ধরনের হল রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।