তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারে গঠিত হচ্ছে সাস্টেনিবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এ কাউন্সিল গঠনের কথা জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ড, ট্রেড ইউনিয়ন ও পোশাক মালিকসহ সব পক্ষের সম্মতিতে এ কাউন্সিল গঠন হচ্ছে। এর আগে ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দু’দিনব্যাপী আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। ফলে অ্যাকর্ড চলে যাওয়ার পরও এই কাউন্সিল পোশাক কারখানাগুলোর পরিদর্শন, প্রতিকার, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই সমঝোতা হয়েছে। অ্যাকর্ড, আইএলও আমাদের সহায়তা করবে। এটা হবে স্টেকহোল্ডারদের একটা প্লাটফর্ম। তিনি বলেন, ‘আরএসসির খসড়া অক্টোবরের শেষদিকে শেয়ার করা হবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া ২৫ নভেম্বরের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে রুবানা হক বলেন, ‘আমরা সবাই আরএসসি চালাব। আমরা এই আরএসসির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা মেনে নিয়েছে। এই আরএসসি দুইভাবে কাজ করতে পারে। একটি হচ্ছে ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে এবং অন্যটি কোম্পানির মাধ্যমে হতে পারে। তাই আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে রেজিস্টেশন করব। আমাদের যেসব আইনগত বাধা থাকাবে তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে সমাধান করব।’
আরএসসি প্রয়োজন কেন হলো জানতে চাইলে রুবানা হক বলেন, আগে আমরা অ্যাকর্ড কমিটিতে ছিলাম না। আমাদের যা প্রটোকল ছিল আমরা তা মেনেছি। সেই অনুযায়ী আমরা নানারকম সংশোধন করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। আমরা মনে করি দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমরাই এ প্রস্তাব দিয়েছি। অ্যাকর্ড গ্রহণ করেছে।’ ব্রিফিংয়ে যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করেন আরবিসির জেনারেল সেক্রেটারি জেড এম কামরুল আনাম। যৌথ ইশতেহারে বলা হয়, অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধিরা এর আগে গত ৮ মে স্বাক্ষরিত স্মারক অনুসারে এই আরএসসি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দু’দিনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেয়া পক্ষগুলো আগামী ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে এ্যাকর্ড এবং এর সব কার্যাবলীর একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। আরএসসি প্রথমবারের মতো নেয়া একটি জাতীয় উদ্যোগ। যা দেশীয় শিল্প, ব্র্যান্ড এবং ট্রেড ইউনিয়নকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্স-এর মানদণ্ড নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে এই আরএসসি শিল্প সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত বিষয়গুলোকে নিজেদের কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করবে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে সব পক্ষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।