প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৬
সেপ্টেম্বর মাসেও প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে চলতি মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে ২০৩ কোটি ১০ লাখ বা প্রায় ২.০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ২৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ দিন পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯৩ কোটি ডলার। এর তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৭৭ কোটি ডলার। অর্থবছরভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২০.১ শতাংশ।
জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই ধারাবাহিকতা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অভ্যন্তরে প্রবাহ এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিক থেকে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা ও বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ সৃষ্টি করছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা দেশের মুদ্রা বিনিয়োগ এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত এই প্রবাহ বজায় থাকলে সরকারের বাজেট ও নীতি নির্ধারণেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।