ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান: নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার যা জানলেন !

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৬ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান: নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার যা জানলেন !

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নাগরিকত্ব সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নাগরিকত্ব গ্রহণ বা ভারতে তাঁর অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়।  


এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত তথ্য পত্রিকার মাধ্যমে জানার বাইরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে পাঠানো চিঠির কোনো জবাব এখনও আসেনি।  


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এ সময় তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  


শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, গুম, ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে, যার মধ্যে ২২ জন গুমের সঙ্গে এবং ৭৫ জন গণহত্যার সঙ্গে জড়িত।  


পাসপোর্ট বাতিলের পর ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল পাশ দিয়েছে, যা তাঁর ভারতে অবস্থানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন হিসেবে কাজ করছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ভারত থেকে আনুষ্ঠানিক জবাব পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  


অন্তর্বর্তী সরকার আরও জানায়, শেখ হাসিনাসহ আগের সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তাঁরা আর কূটনৈতিক সুবিধা নিতে পারবেন না।  


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নজর রাখছেন। এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  


শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশ ও ভারতের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।