শান্তি ও বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে ভারতের ৬৮৫ বিশিষ্ট নাগরিকের বাংলাদেশে খোলা চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪২ অপরাহ্ন
শান্তি ও বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে ভারতের ৬৮৫ বিশিষ্ট নাগরিকের বাংলাদেশে খোলা চিঠি

বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে ৬৮৫ জন ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিক একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তারা দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠি স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে সাবেক বিচারক, আমলা, এবং ভারতের কয়েকজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন। 


গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই খবর প্রকাশ করেছে। চিঠির মূল বার্তায় বলা হয়েছে, গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।  


চিঠির এক প্যারায় ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া বিভিন্ন হামলার বিরোধিতা করেছেন এবং এসব হামলা বন্ধ করতে তাগিদ দিয়েছেন। তারা বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিয়া এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। চিঠিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে।


স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ভারতের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশি, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং আমলাদের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের আরও গভীরতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন, এবং এই সম্পর্ক উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থকে রক্ষা করবে বলে আশাবাদী।


চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত, সমুদ্রসীমা এবং বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতার প্রশংসা করা হয়েছে। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে সহযোগিতার মাধ্যমে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।


বিশিষ্ট ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং জনগণকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শেষ দিকে, তারা গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।


এই চিঠিটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সম্পর্কের গভীরতায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, যা উপমহাদেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।