ডলারের দাম বাড়ায় বিপাকে সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৭ অপরাহ্ন
ডলারের দাম বাড়ায় বিপাকে সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদানের প্রত্যয়পত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে একেকজন ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত কয়েক লাখ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। 


ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়া সহ রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয়। 


সোনাহাট স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, গত সোমবার বাংলাদেশী মুদ্রায় এক ইউএস ডলারের দাম ছিল ৯৫ টাকা। বুধবার এক ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এতে ব্যবসায়ীদের এক ডলারের বিপরীতে প্রায় ১৩ টাকা ৫০ পয়সা বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা পণ্য আমদানি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।


সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানিকারক লিয়াকত আলী বলেন, ডলারের দাম প্রায় ১৩ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে গেছে। বুধবার এলসি বিল ছিল ৬৬ হাজার ৬০০ ডলার। ডলার দাম বাড়ায় এলসি বিল বাবদ প্রায় ৯ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। 


সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা উভয় সঙ্কটে পড়েছেন। এখন পণ্য আনা হলে আগের চেয়ে কম পণ্য আনতে হবে। পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অপরদিকে ডলারের দাম যদি কমে যায় তখন বেশি দামে আনা পণ্য বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হবে এতেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।


ডলারের মূল্য বৃদ্ধি স্থলবন্দরের রাজস্ব আয়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে কিনা তা জানতে সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে অফিসিয়াল বিধি নিষেধের কারণে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।