হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এলো ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই আগস্ট ২০২৩ ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এলো ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ

এক দিনেই এলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। 


বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় ৯টি ট্রাকে বন্দর দিয়ে এসব কাঁচ মরিচ আমদানি করা হয়। এতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ।চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা করে কমেছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় খুশি বন্দরে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্নআয়ের মানুষ।


হিলি স্থলবন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে আসা মোস্তফা হোসেন বলেন,দেশীয় কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় কাঁচা মরিচের চাহিদা রয়েছে। সেই কারণে আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে কাঁচামরিচ ক্রয় করে নিয়মিত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলাম। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে ছিল। 


আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের দাম ১০০ টাকার মধ্যেই ছিল কিন্তু হঠাৎ করে গত সপ্তাহ থেকে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। দাম বাড়তে বাড়তে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় উঠে যায়। বাড়তি দামের কারণে আমাদের কাঁচা মরিচ কিনতে বিপাকের মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। বর্তমানে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে, তেমনি দাম কমে এসেছে। যার কারণে আমাদের যেমন কিনতে সুবিধা হচ্ছে। তেমনি মোকামে চাহিদামত পাঠাতে পারছি, তেমনি ক্রেতারাও কম দামে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছে। 

 

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। সম্প্রতি দুই-তিন দিন ভারতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা ওই সময়ে ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে পারেননি।যার কারণে ভারতের মোকামে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখীর সঙ্গে সঙ্গে বন্দর দিয়ে আমদানি অনেকটা কমে যায়।


এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমায় কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে বর্তমানে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে শুরু করেছেন। যার কারণে ভারতের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ অনেকটা বেড়েছে, তেমনি দাম কমেছে। সেই সঙ্গে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে।শুধু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নয়, দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়েই ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে দেশের বাজারে আবারো দাম কমতে শুরু করেছে।


হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান,বেশ কিছুদিন ধরেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।তবে মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের ছুটির কারণে একদিন বন্ধের পর বুধবার (১৬ আগস্ট) বন্দর দিয়ে দু’দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। এক দিনেই বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়।কাঁচা মরিচ যেহেতু একটি কাঁচাপণ্য গরমে ও বৃষ্টিতে পচে নষ্ট হয়। যার কারণে কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন তারা বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।


প্রসঙ্গত, দেশে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গত ২৫ জুন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর গত ২৬ জুন ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বেশ কয়েক হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।