পুনরায় বাড়ল এলপিজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:১৮ অপরাহ্ন
পুনরায় বাড়ল এলপিজির দাম

পরপর দুই মাস বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। গত নভেম্বর প্রতি কেজি এলপিজিতে বেড়েছিল ৪ টাকা ২৫ পয়সা। আর চলতি ডিসেম্বরে প্রতি কেজি এলপিজিতে বর্তমান দামের চেয়ে বাড়ল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। দেশের বাসাবাড়িতে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় ১২ কেজির সিলিন্ডার। এই হিসাবে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার বা বোতলে গ্যাসের দাম বাড়ল গত মাস থেকে ৪৬ টাকা বেড়েছে।


রোববার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। নির্ধারিত নতুন দাম রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে। এ সময় সচিব খলিলুর রহমান খান, সদস্য মোকবুল-ই ইলাহি, আবু ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, গত মাসের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ৬ দশমিক ৫৫ ভাগ বেড়েছে। প্রতি কেজি এলপিজির দাম মূসক সহ ভোক্তা পর্যায় ১০৮ টাকা ৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি গ্যাস ধরে এমন সিলিন্ডার রয়েছে।


তবে ১২ কেজি ওজনের গ্যাস বেশি বিক্রি হয়। ডিসেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৬০ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন। এই দাম গত নভেম্বর গতমাসে ছিল ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন হয়নি। সেটি আগের দাম ৫৯১ টাকাই রয়েছে।


অন্যদিকে বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দাম প্রায় একই আছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় নভেম্বরে প্রতি লিটারের দাম ছিল ২২ পয়সা। এবার তা এক পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩ পয়সা।


এবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যেকার যুদ্ধকে দায়ী করা হয়েছে। এই যুদ্ধের ফলে ডলার ও জ্বালানির দামের সংকট থাকায় এলপিজির দাম বেড়েছে বলে বলা হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নভেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬১০ মার্কিন ডলার এবং ৬১০ মার্কিন ডলার। ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে ৬৫০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন।


এলপিজি আমদানিকারক এমন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের এলসি সেটেলমেন্টের ভিত্তিতে ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৫ টাকা ২২ পয়সা, যা গত মাসের তুলনায় ১ টাকা ৩ পয়সা কম, গত মাসে ছিল ১০৬ টাকা ২৫ পয়সা।