কেজি দরে বেল বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এরফান হোছাইন. জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বুধবার ২৮শে এপ্রিল ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
কেজি দরে বেল বিক্রি


তরমুজ ও কাঠালের কেজি বিতর্কের পর এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে বেল। বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় কেজি দরে বেল বিক্রি করতে দেখা গেছে। এতে করে দাম, মান ও ওজনে ঠোকছেন ক্রেতারা। কেজির ওজনে বেল বিক্রি করায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন ক্রেতারা।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, পিস হিসেবেই বিক্রি হতো বেল। কিন্তু এখন তা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে নিরুপায় হয়ে কেজি দরে কিনতে হচ্ছে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি। এতে দাম বেশি পড়লেও নিরুপায় তারা।




বরগুনার সদর রোডের বেল বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন হলো বেল কেজি হিসেবে বিক্রি শুরু করেছি। এখন বেল পিস হিসেবে বিক্রি হয় না, পাল্লায় ওঠে। আমিওতো সারাজীবন দেখেছি বেল পিস হিসেবে বিক্রি হয়। কিন্তু এখন তা আর হয় না। এখন কেজি দরেই বেল বিক্রি হচ্ছে।



শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বেল বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, তিনিও কেজি দরে বেল বিক্রি করেন। কেজি দরে বিক্রি হলেও ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে বেল পাচ্ছেন।



তবে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে নজরুল ইসলামের কাছ থেকে কেজি দরে বেল ক্রয় করে আইউব আলী বলেন, নজরুলের কাছ থেকে কেজি দরে দুটি বেল কিনেছি ৪৫ টাকায়। এই বেলই যদি আমি পিস হিসেবে কিনতে পারতাম, তাহলে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় কেনা যেত।




আসমা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে বেলও কেজি দরে বিক্রি হয়। সংশ্লিষ্টদের বাজারে যথাযথ নজরদারি না থাকার কারণে এ অবস্থায় তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (সিএবি) বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো. জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, কেজি দরে বেল বিক্রির কথা আমি এর আগে কখনও শুনিনি। সম্প্রতি বরগুনায় এই প্রচলন শুরু হয়েছে। এর ফলে ভোক্তারা ঠকছেন। আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাবো।



এ বিষয়ে বরগুনার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বেল সাধারণত পিস হিসেবেই বিক্রি হয়। এই এলাকার মানুষ পিস হিসেবেই বেল কিনতে অভ্যস্ত। সম্প্রতি বরগুনায় বেল কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্রেতারা ঠকছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।

#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১