প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১১:৪৯
ইসরায়েল ও তার মিত্রদের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তা আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছে ঢাকাস্থ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস। তাদের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরান এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীরা যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করেছেন, তা মানবিক চেতনাবোধ এবং ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতির প্রকাশ। এই অবস্থান আন্তর্জাতিক নৈতিকতা ও মানবিকতার পক্ষেই এক সুস্পষ্ট বার্তা।
ইরান মনে করে, তাদের জনগণের প্রতিরোধ শুধু একটি জাতীয় ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক আইনসম্মত অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে দৃঢ় বার্তা। এ প্রতিরোধ বৈধ অধিকার হওয়ার পাশাপাশি একটি নৈতিক ও মানবিক দায়িত্বও।
দূতাবাসের মতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সহিংসতা, আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিপরীতে জাতিসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মতো দেশ যখন নির্যাতিত জাতির পাশে দাঁড়ায়, তখন তা শুধু দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব নয়, বরং একটি বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
ইরান আরও জানায়, বাংলাদেশের মানুষের এই মূল্যবান অবস্থান তাদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে এবং ভবিষ্যতেও এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।
বিবৃতির মাধ্যমে ইরান একদিকে তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, অন্যদিকে বিশ্ববাসীর কাছে বার্তা দিয়েছে যে, যে কোনো অন্যায় ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানবতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া।
এই বিবৃতি নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, মানবতা ও ন্যায়ের প্রশ্নে জাতিসমূহের একতাবদ্ধতা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের এমন ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।