হেফাজতের মহাসমাবেশ ৩ মে, জাতীয় কনভেনশন জুনে

সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ৫ মে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের বিচার দাবিতে এ মহাসমাবেশ করা হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হবে।  

নেতারা বলেন, নিরীহ আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা চলতে দেওয়া হবে না। সরকারকে এসব মামলা প্রত্যাহার করতেই হবে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং হেফাজতের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।  

সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী জুন মাসে দেশের সব জেলা ও মহানগর পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে।  

এছাড়া জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের আলোকে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। নেতারা বলেন, এই সরকারের ফ্যাসিবাদী দমননীতি দেশের মানুষের অধিকার হরণ করছে।  

হেফাজতের নেতারা জানান, জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও সুসংহত করা হবে। দেশজুড়ে ইসলামি আন্দোলনকে শক্তিশালী করাই তাদের লক্ষ্য।  

এ মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক আলেম-উলামা ও অনুসারী অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংগঠনটি এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।  

হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে, তবে যেকোনো ধরনের বাধার মুখে কড়া জবাব দেওয়া হবে।