আমির হোসেন আমুর গ্রেপ্তারের খবরে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: বুধবার ৬ই নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫২ অপরাহ্ন
আমির হোসেন আমুর গ্রেপ্তারের খবরে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পরই ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু’র গ্রেপ্তারের খবরে আনন্দে মেতে উঠেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা আইনজীবী সমিতির সামনে আনন্দ মিছিল বের করে এবং পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।


এদিনের আনন্দ মিছিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। মিছিলে শ্লোগান দিতে দিতে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। পরে আইনজীবী সমিতির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন তুহিন ও শ্রমিক দলের আহ্বায়ক টিপু সুলতান। 


বক্তারা তাদের বক্তব্যে আমির হোসেন আমুকে 'ফ্যাসিস্ট' আখ্যা দিয়ে বলেন, "তার নেতৃত্বে ঝালকাঠিতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। আজ তার গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।" 


অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমির হোসেন আমু ছিলো ঝালকাঠির সন্ত্রাসী রাজত্বের প্রধান উপদেষ্টা। ছাত্র হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর তার কঠোর বিচার দাবি করছি। তার দোসরদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত।”  


এদিকে, আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতাকর্মীরাও খুশি হয়েছেন। নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ফিরোজ তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেছেন, “আমার নেতা গ্রেপ্তার! আজকের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।” একইভাবে, আওয়ামী লীগের নেতা আলম অপু বলেন, "আমার একসময়কার রাজনৈতিক নেতা আজ গ্রেপ্তার। ভালো লাগছে, আল্লাহ তার বিচার করুন।"  


ঝালকাঠির রাজনীতিতে আমির হোসেন আমু ছিলেন একটি বিতর্কিত নাম, যার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও দীর্ঘদিন তিনি আইনের নাগালের বাইরে ছিলেন। এখন, তার গ্রেপ্তারের পর জনমনে এক ধরনের উত্তেজনা এবং শান্তি বিরাজ করছে।