বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক এবং অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতা জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বুধবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছিল অস্বস্তিকর। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং একদলীয় শাসন জনগণের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে এবং সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে দেয়। সেসময় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয় এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে রাখে, তবে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা একত্রিত হয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করে। তারেক রহমান বলেন, এ দিন থেকেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ফিরে আসে।
এছাড়া তারেক রহমান সরকারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন যে, দেশ বর্তমানে এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যেখানে বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বর্তমান শাসক দলের দোষারোপ করে বলেন, তাদের অপশাসনের ফলে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করে প্রভুত্ব কায়েম করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটেছে, এবং এখন সময় এসেছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করে চূড়ান্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের পক্ষে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাবে, এবং এক দিন দেশ সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের পথে চলতে সক্ষম হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।