যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে এক তরফা লড়াইয়ের পর তিনি ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভোট অর্জন করে জয়লাভ করেছেন।
৬ নভেম্বর, বুধবার, ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প ২৭৭টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস পেয়ে আছেন ২২৬টি ভোট। এখনও বাকি ৩৫টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ফলাফল ঘোষণা বাকি রয়েছে।
ফ্লোরিডায় নির্বাচনী প্রচারণার ওয়াচ পার্টি থেকে ট্রাম্প তার বিজয় উদযাপন করেন। তিনি বলেন, "এটি আমেরিকার জন্য একটি অসাধারণ বিজয়, যা আমাদের দেশকে আবারও মহান করতে সাহায্য করবে।" তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত জনতারা ‘আমেরিকা’ শিরোনামে উল্লাসিত হয়ে স্লোগান দেয়। তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্সও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এদিন ট্রাম্প তার জয়কে একটি রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করে ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর আগে, তিনি নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে পেনসিলভানিয়া রাজ্যকে তাঁর বিজয়ের মূল চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেছিলেন।
মার্কিন নির্বাচনের কাঠামো অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য পপুলার ভোট নয়, ইলেকটোরাল ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে ইলেকটোরাল কলেজের গুরুত্ব অপরিসীম। একেকটি রাজ্যে জিতলে সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট লাভ করে জয়ী দল।
এদিকে, নির্বাচনের আগেই ধারণা ছিল যে কমলা হ্যারিসের জন্য এই নির্বাচনটি ইতিহাস তৈরির সুযোগ হতে পারে। তবে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসা ও সমর্থকদের উত্সাহ নির্বাচনকে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত করেছিল।
ট্রাম্পের জয় নতুন দিগন্তের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ফলাফল এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে এবং নতুন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে দেশে পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে লাখ লাখ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।