সিলেটের জনপ্রিয় স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ.টি.এম. তুরাব হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপনকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে বিজিবির টাস্কফোর্স। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ.টি.এম. তুরাবের হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামী ছিলেন মঈন উদ্দিন। তিনি গোপীনাথপুরের ইমাম উদ্দিনের ছেলে।
৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন গোপন সূত্রে জানতে পারেন, মঈন উদ্দিনের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র মজুদ রয়েছে। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিজিবির টাস্কফোর্স ভোরে অভিযান চালায়। যদিও ওই অভিযানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি, তবে মঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর মঈন উদ্দিনকে ওএসডি করা হয় এবং তিনি রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। তবে তিনি বাড়িতে কী কারণে ছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ.টি.এম. তুরাব হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে প্রধান আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং পুলিশের ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী হিসেবে ২০০ থেকে ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সিলেটে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং নিহত সাংবাদিকের পরিবার ও সহকর্মীরা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় রয়েছে। মঈন উদ্দিনের গ্রেফতারের পর স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে এবং এই মামলার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।