কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সামির আসাফ, প্রতিনিধি ( ঢাকা )
প্রকাশিত: সোমবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের মানববন্ধন

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির অস্থায়ী কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অস্থায়ী কর্মচারীরা বলেন, “ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ ও কন্টাক্ট সেন্টার এক্সিকিউটিভ পদে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায়, শাখায় ও হেড অফিসে দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের নাটকীয় কর্মকাণ্ড ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বেশির ভাগ বয়স ৩০-৩২ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় অন্যত্র চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না।”


প্রতিবাদী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে তারা আইনি সুবিধা যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা আরও জানান, “ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আমরা আমাদের কর্মজীবন অস্থায়ীভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু স্থায়ীকরণের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হোক। তা-না হলে আমরা লাগাতার এ কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”


মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন কর্মচারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার হাতে নিয়ে তাদের দাবির প্রতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাদের মধ্যে লেখা ছিল, “আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ চাই” এবং “প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হোক”।


এদিকে, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


কর্মসূচি শেষে প্রতিবাদী কর্মচারীরা বলেছিলেন, তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ হয়। তারা আশাবাদী যে, তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যার সমাধান করবেন এবং তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করবেন।


এ পরিস্থিতি ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা এবং কর্মচারীদের মধ্যে সম্পর্কের উপর চাপ তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে সবার নজর থাকবে।