প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৫
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি ভাড়া বাসা থেকে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। নিহত সাদিয়া ইসরাত মীম (২১) হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাশ গ্রামের মো. সাব্বির হোসেনের মেয়ে। পুলিশ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুর এলাকার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের বাবা সাব্বির হোসেন জানান, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে মীম ও লক্ষীপুরের রামগতির চর মসনা এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। নোয়াখালী কলেজে পড়ার সময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পর তারা মাইজদী শহরের অধ্যাপক কাদেরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মীমের লাশ বিছানায় ফেলে রেখে স্বামী দ্বীন মোহাম্মদ মীমের খালাতো বোন জুঁই ও শাশুড়ি মুন্নিকে ফোন করেন এবং জানান, মীম হয়তো বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি জানান, তিনি গাড়ির জন্য বের হয়েছেন এবং দ্রুত বাসায় ফেরেননি। জুঁই ঘটনাস্থলে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের খালাতো শ্রেষ্ঠা জানান, একই বাসায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভা নামে আরেক ছাত্রী সাবলেট থাকত। ঘটনার পর তিনি বাসা ত্যাগ করেছেন এবং বলা হচ্ছে তিনি ঢাকা যাচ্ছেন। পরিবারের ধারণা, মীমকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নববধূর মৃত্যু অস্বাভাবিক এবং তদন্ত করে অপরাধীকে শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ পলাতক স্বামীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মীমের মৃত্যু পুরো পরিবারের জন্য শোকের বিষয়। তারা চাইছেন এই ঘটনা যাতে দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে বিচারপ্রাপ্ত হয়। এলাকাবাসীও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।