পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর)রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শাহীন কাজী নিজ ঘরের বারান্দায় রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তার মা ও বোন তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহতের চাচাতো বোন মোছাঃ আসমানী বেগম জানান, শাহীন কাজী ছোটবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসার চেষ্টা করছিলেন। কয়েকদিন আগে সে দুইবার গলায় ফাঁস নিতে গিয়েছিল, আমরা তখন বাঁচিয়েছি। এবার আর বাঁচাতে পারলাম না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতাহাল প্রতিবেদন করেছে। আমরা শুনেছি তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।