প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:৮
দীঘিনালায় গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের চার সদস্য নিহত হয়েছে—এমন সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, গুজব ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার’ হিসেবে দাবি করেছে পার্বত্য সংগঠন ইউপিডিএফ। শনিবার সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বার্তা প্রেরক নিরন চাকমার সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দীঘিনালায় ইউপিডিএফ ও জেএসএস (সংস্কার) দলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ইউপিডিএফের চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে বলা হলেও, বাস্তবে তাদের কোনো সদস্য ওই ঘটনায় জড়িত ছিল না।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ স্পষ্ট করে জানায়, দীঘিনালা উপজেলার ওই এলাকায় সংগঠনটির কোনো সামরিক শাখা সক্রিয় নয় এবং সংঘর্ষের সময় বা পরে সেখানে তাদের কেউ অবস্থান করছিল না। ফলে তাদের সদস্য নিহত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
সংগঠনের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠন, যারা সশস্ত্র লড়াইয়ের চেয়ে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামে বিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় চলমান গণআন্দোলনের মধ্যেই এই গুজবটি ছড়ানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল—মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউপিডিএফ দাবি করে, এমন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সংবাদমাধ্যম একটি দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করেছে। ফলে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আরও দায়িত্বশীল আচরণ এবং তথ্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এমন মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করে। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।