ঘর নেই, ভবিষ্যত নেই—অপেক্ষা শুধু মানবিক সিদ্ধান্তের

জানা গেছে, একসময় শহিদুল অন্যের জমিতে একটি ছোট ঝুপড়ি ঘর তুলে স্ত্রী, দুই সন্তান ও অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। শিলখুড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুক্তিভিত্তিক ঝাড়ুদারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তবে মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য পরিবারসহ ঢাকায় যেতে হয়। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে দেখেন, যে জমিতে তাঁরা থাকতেন তার মালিক জায়গাটি অন্য কাজে ব্যবহার শুরু করেছেন। ফলে শহিদুল পরিবার নিয়ে সম্পূর্ণ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

এরপর থেকে তারা কখনো দোকানের বারান্দায়, কখনো বাজারের বিভিন্ন কোণে রাত কাটাতে থাকেন। সম্প্রতি তাঁরা উপজেলা পরিষদ ভবনের পুরাতন বারান্দায় আশ্রয় নিলে সেখানে থেকেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করতে গেলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।

শহিদুল বলেন, “কখনো খাইতে পাই, কখনো না পাই। মা-বাচ্চা লইয়া অনিশ্চয়তায় আছি। শুনছি আশ্রয়ন প্রকল্পে কিছু ঘর খালি আছে। যদি একটা ঘর পাই, তাহলে বউ-বাচ্চা আর মাকে নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো।”

শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “শহিদুল আবেদন করলে তাকে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর দেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ জন মিত্রও একই আশ্বাস দেন।