প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ২১:৩৩
ঝালকাঠির নলছিটিতে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ প্রবেশ করায় অনিয়মের অভিযোগে ৯ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার সময় হদুয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হদুয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হলে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা তিন শিক্ষককে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং দুজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পাওয়া নিয়ম লঙ্ঘনের গুরুতর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে মোবাইলসহ একই ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। এ কেন্দ্রে ৬ জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুই কেন্দ্রে এই ধরনের অনিয়ম প্রকাশ্যে আসায় শিক্ষা প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার পরিবেশ স্বচ্ছ ও নকলমুক্ত রাখতে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং তা লঙ্ঘন করায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তদারকি চলছে এবং অনিয়মে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ধরণের নজিরমূলক ব্যবস্থা ভবিষ্যতে পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক প্রবণতা রোধে কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব থাকলে শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
পরীক্ষার প্রথম দিনেই এমন অনিয়ম প্রকাশ্যে আসায় অভিভাবকরা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তারা চাইছেন পরীক্ষার পরিবেশ যেন আরও নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত রাখা হয়।