প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৮:৯
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নামের মিল থাকায় সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে পুলিশ ভুল করে আটক করে থানায় রাতভর আটকে রাখে। বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করলে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বৃহস্পতিবার সকালে নেতা-কর্মীরা থানায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে ওসি মাহামুদুন নবীর অপসারণের দাবি জানান। বিক্ষোভের মুখে ওসি ওই নেতাকে মুক্তি দিতে
বাধ্য হন। খন্দকার নূরনবী কাজল জানান, তার নামে কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে আটক করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্বে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধপরায়ণ ওসি তাকে গ্রেপ্তার করেন। কাজলের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে হয়রানি করেছে এবং থানায় তার স্ত্রীর সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। স্ত্রী নাসরিন ফারহানা
জানান, থানায় গিয়ে তিনি প্রতিবাদ করলে ওসি তাকে বলেছিলেন, মূল আসামিকে ধরে দিলে তবেই তার স্বামী মুক্তি পাবে। এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ওসির বিচার দাবি করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার এমনভাবে গ্রেপ্তার এবং জনগণের উত্তেজনায় থানায় যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদে এমন অসতর্ক ও কর্তৃত্ববাদী আচরণ
সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলছে। যদিও ওসি মাহামুদুন নবী দাবি করেন, এটি নিছক একটি ভুলবশত ঘটনা এবং নামের মিল থাকায় কাজলকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর চোখে এটি ছিল উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিষয়টি নিয়ে এলাকায়
ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওসি মাহামুদুন নবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।