প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ১১:৩৩
যশোরের বেনাপোলের ডুবপাড়া গ্রামে ঈদুল আজহার নামাজ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া দ্বন্দ্বের জেরে এক বিএনপি কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতে গ্রামের জামতলা মোড়ে ঘটে এ বোমা হামলার ঘটনা, যেখানে নিহত হন আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত আব্দুল হাই ছিলেন ডুবপাড়া গ্রামের হারান আলীর ছেলে এবং বেনাপোল পৌর বিএনপির নেতা মিয়াদ আলীর ভাগনে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু লোক ঈদের নামাজ আদায় করতে গেলে ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির ছেলে আবু সাঈদ তাদের বাধা দেন। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিএনপির ওয়ার্ড নেতারা সমঝোতা করলেও তা স্থায়ী হয়নি।
রাত ৯টার দিকে জামতলা মোড়ে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন আব্দুল হাই। এ সময় আবু সাঈদ তার সঙ্গে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে উপস্থিত হয়ে হঠাৎ বোমা নিক্ষেপ করেন। বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল হাই, যা এলাকায় চরম ভয় ও শোকের পরিবেশ তৈরি করে।
জানাগেছে, অভিযুক্ত আবু সাঈদ স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবির ঘনিষ্ঠ অনুসারী। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোন্দল ও পূর্ব বিরোধের ইঙ্গিত মিলেছে স্থানীয়দের বক্তব্যে। এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের সহিংসতা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি তবে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
এই বোমা হামলার ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদের আনন্দের দিন এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। একই সঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।