প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:৮
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে যা স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
শহীদ জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে দলীয় নেতারা জানান, তিনি ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার।
উলিপুরে দিনটি শুরু হয় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ১০টায় উলিপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, যেখানে শহীদ জিয়ার জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হাবিব নয়নের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হায়দার আলী মিয়া, রিনা বেগম, রশিদা বেগম লতা, নুরুজ্জামান বাচ্চু, ইফতেখারুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ বাতেন, মেহেদী হাসান মারুফ, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মতিন, আব্দুল কাদের শামীমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা জিয়াউর রহমানকে একজন ক্ষণজন্মা নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তার আদর্শ অনুসরণ করলে দেশ ও জাতি তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি দেশে রাজনৈতিক বৈচিত্র্য ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তারা আরও বলেন, শহীদ জিয়া দেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতিকে আধুনিক ও টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তার সময়কালের খালকাটা কর্মসূচি ও সবুজ বিপ্লব দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
আলোচনা শেষে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। এতে বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি ছিল সুশৃঙ্খল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত একটি স্মরণীয় আয়োজন, যা শহীদ জিয়ার প্রতি দলীয় শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।