প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ২১:৫১
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে। বিজিবি শনিবার সকালে নলেয়া এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিদের আটক করে এবং বিকেলে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটককৃতরা সবাই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের সবাই কাজের সন্ধানে প্রায় এক দশক আগে ভারতে গিয়েছিলেন।
আটককৃতদের মধ্যে বড়লই বড়ভিটা গ্রামের এনামুল হক, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম এবং তাদের সন্তান রয়েছে। শিংহলবাড়ি সোনাইকাজী গ্রামের আতাউর রহমান ও তার পরিবারও এই তালিকায় আছেন, যেখানে দুই সন্তান, পুত্রবধূ এবং নাতিও ছিলেন। নাগদহ গ্রামের আব্দুল মজিদ ও তার পরিবারও অন্তর্ভুক্ত।
তারা জানান, ভারত গিয়ে দীর্ঘ সময় কাজের সুযোগের জন্য ছিলেন। সম্প্রতি প্রায় ২০ দিন ভারতীয় কারাগারে থাকার পর তাদের এই ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, বিজিবি ওইসব ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেছে এবং তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ঘটনার পেছনে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন রোধে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কঠোর অবস্থান বজায় রাখছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ উপার্জনের জন্য প্রতিবেশী দেশে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করে, যা নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে থাকে। এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মাঝে মাঝে একযোগে অভিযান চালায়।
অবৈধ অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে দেশের গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বৈধ পথে কাজের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ফলে প্রায়ই নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সন্ত্রাসের আশঙ্কাও থাকে।
অবশেষে, এই ধরনের ফেরত পাঠানোর ঘটনা কেবল সীমান্ত নিরাপত্তার সফলতার নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। প্রশাসন সচেতনতার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।