প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ২১:৪৮
গত বছরের ৪ আগস্ট কুমিল্লার দেবীদ্বারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত রুবেল হত্যা ও আবুবকরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তিনজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকে গ্রেফতার করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ। অভিযানে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান পরিচালিত হয় এবং শনিবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন দেবীদ্বার পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ ফরহাদ আহমেদ ভূঁইয়া।
আব্দুর রাজ্জাক দেবীদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, যিনি গত বছর আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইমরান হোসেন বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামের মৃত মতিন সরকারের পুত্র এবং ফরহাদ ভূঁইয়া ভানী ইউনিয়নের খাদগর গ্রামের কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার ছেলে। তিনজনেই ৪ আগস্টের ওই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হত্যাচেষ্টার মামলায় এজাহারভুক্ত।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, তদন্তের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিন নেতাকে। তাদের বিরুদ্ধে রুবেল হত্যা এবং আবুবকরকে হত্যার চেষ্টা মামলাসহ দুইটি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাদের আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।
গত বছরের ৪ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। আন্দোলনের সময় রুবেল নামের এক স্বেচ্ছাসেবক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং আবুবকর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে এবং এবার তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও তাদের নিষিদ্ধ সংগঠন হওয়ার কারণে এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। আন্দোলনের পটভূমিতে তাদের গ্রেফতারের ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তদন্ত ও মামলার কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রকাশ পেতে পারে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ জনগণের মাঝে এই ঘটনার প্রভাব নিয়ে নানা মতামত প্রকাশ পাচ্ছে।