প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৬:১৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খামারি ও গৃহস্থরা কুরবানির ঈদের বাজারে বিক্রির জন্য ২২ হাজার ৬৭৩টি গরু-মহিষ লালন-পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় বাড়তি প্রস্তাবনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকেই সরাইলের পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। খামারিরা সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভালো মাত্রার পশু আনছেন, যাতে ক্রেতারা নির্ভয়ে কোরবানি করতে পারেন।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর যৌথ অনুসারে পশু হাটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পরিবহণ নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এলাকার মোবাইল ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
সরকারি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় খামারিদের স্টেরয়েড ও হরমোনমুক্ত পশু উৎপাদনের প্রযুক্তি শেখানো হচ্ছে। এতে ক্রেতারা স্বাস্থ্যঝুঁকি মুক্ত পশু কিনতে পারবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রচুর পশুর মধ্যে বিক্রিensenত কম আসছে। পূর্বে পছন্দের পশু কিনলেও এবার খামারিরা ক্রেতা না পেয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। মূল্যবৃদ্ধি ও ক্রয়ের সংকটের কারণে লাভের আশায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অধিকাংশ খামারি চলতি ক্ষতি কমাতে সরকারের নিকট প্রণোদনা চেয়েছেন। তারা বলছেন, ভারত হতে গরু না এলে স্থানীয় খামারিদের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তা দেশের অর্থনীতিকেও সহায়তা করবে।
সরাইল উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনছুর আহমেদ বলেন, ঈদের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে এবং হাটে ভেটেরিনারির সহযোগিতায় সুস্থ পশু বাছাই ও ক্রয়ে সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি আশা করেন, সরাইলে চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে, ফলে ক্রেতারা ঘাটতি ছাড়াই পশু সংগ্রহ করতে পারবে এবং স্থানীয় খামারিরা মর্যাদাপূর্ণ মুনাফা অর্জন করবে।