প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১৮:০
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় একটি ঘরের খাটের নিচ থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে উদ্ধার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত মো. জহিরুল ইসলাম ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম সম্প্রতি এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অভিযোগ রয়েছে, সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তিনি ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান। ওই সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ফিরে আসলে জহিরুল আতঙ্কে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। পরে গৃহবধূর স্বামী তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি জোরপূর্বক খাটের নিচ থেকে এক যুবককে টেনে বের করছেন। আশেপাশে উপস্থিত কয়েকজন লোক বিস্ময়ের সঙ্গে পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছেন। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য ও সমালোচনা উঠে আসে।
এলাকাবাসী শরিফুল ইসলাম সুজন জানান, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও তার কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং তিনি বারবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছেন, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, তিনি এক প্রতিবন্ধী স্কুলে চাকরি করেন এবং ওই গৃহবধূ তার এক সহকর্মীর আত্মীয়া। তিনি দাওয়াতে গিয়েছিলেন এবং পরিস্থিতি জটিল দেখে ভয় পেয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। তবে খাটের নিচে লুকানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
এ ঘটনায় ডাসার উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বিষয়টিকে ব্যক্তিগত ব্যর্থতা হিসেবে দেখলেও কেউ কেউ দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন। তবে এখনো ছাত্রলীগের কোনো শীর্ষ নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য দেননি।