প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ১৭:৫০
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার প্রবাহমান পদ্মা নদীতে শনিবার (৩ মে) ভোররাতে দুটি বড় কাতল মাছ ধরা পড়ে, যার মোট ওজন ছিল ৫৭.৫ কেজি। দুটি মাছের মোট মূল্য ৯৫ হাজার টাকারও বেশি। স্থানীয় জেলেরা আলেকচান হালদার এবং মোমিন হালদার তাদের জালে ধরা পড়া এই মাছ দুটি দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে নিলামে তোলেন। প্রথম মাছটির ওজন ছিল সাড়ে ৩২ কেজি, যা ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। দ্বিতীয় মাছটি ২৫ কেজি ওজনের এবং এটি বিক্রি হয় ৩৭,৫০০ টাকায়।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা মাছ দুটি কিনে নিয়ে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন, যেখানে তিনি প্রতি কেজি ১০০ টাকার লাভ পেয়েছেন। সাড়ে ৩২ কেজি ওজনের মাছটি ৫৫,২৫০ টাকায় এবং ২৫ কেজি মাছটি ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন। তিনি আরও জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে বড় বড় মাছ ধরা পড়ার প্রবণতা বেড়েছে এবং এটি মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলেরা আলেকচান ও মোমিন হালদার জানান, তারা প্রতিদিনের মতো কয়েকজন সহকারীর সঙ্গে সন্ধ্যার পর মাছ ধরতে বের হন। গত রাতে তাদের জালে বড় কাতল মাছ ধরা পড়ে, যা তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়ক হবে। তাদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর, কারণ মাছ বিক্রি করে তারা কিছু ভালো সময় কাটাতে পারবেন।
দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জনগণের মতে, পদ্মা নদীতে এ ধরনের বড় মাছের ধরা প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি, স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাছ শিকারীদের জন্য এটি যেমন একটি উৎসাহ, তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক একটি বাজারও তৈরি করছে।
এ ধরনের মাছ ধরা শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণের জন্য নয়, দেশের বৃহত্তর অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা নদী এবং এর আশপাশের এলাকায় মাছ ধরা ও বিক্রি একটি প্রাচীন ব্যবসায়িক ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।