প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৩
ঢাকার সাভার উপজেলাকে বায়ুদূষণ গুরুতর আকার ধারণ করায় ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান রবিবার এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেন। পরিপত্রে বলা হয়েছে, সাভারের বায়ুমানের বার্ষিক গড় দূষণ মাত্রা জাতীয় মানের প্রায় তিন গুণ বেশি।
বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের দূষণ ঢাকায় নিয়ে যায়, যা রাজধানীর মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ কারণে সরকার এ অঞ্চলে কড়া নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সাভারের সব ইটভাটায় টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ছাড়া অন্য সব ধরনের ইট পোড়ানো এবং উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এতে বায়ুদূষণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সাথে, উন্মুক্ত স্থানে কঠিন বর্জ্য পোড়ানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য কোনো অবস্থানগত বা পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হবে না, যা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সাভার ও ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং রাজধানীর মানুষজনের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাভারের দূষণ ঢাকায় প্রবাহিত হওয়ায় রাজধানীর মানুষজনের শ্বাসনালীর সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইটভাটার নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের পদক্ষেপ বায়ুমানের মান উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রভাব ফেলবে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমানোর পাশাপাশি শিল্পকারখানার কার্যক্রমকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ করার চেষ্টা করা হবে। তারা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।