নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্দেহভাজন দুই উপজাতি আটক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় সন্দেহভাজন দুই উপজাতি নাগরিককে আটক করেছে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) সদস্যরা। রোববার সকাল ১১টার দিকে নিয়মিত তল্লাশির সময় বিজিবির তুমব্রু বিওপির মাঠকর্মীরা তাদের আটক করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটককৃত দুজনের গতিবিধি ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন।

আটককৃতদের একজনের নাম নয়ন চাকমা, বয়স ৩০ বছর। তার বাবার নাম জ্ঞান রঞ্জন চাকমা। বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বেদবেদি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্যজন উলাই চাকমা, বয়স ২৪ বছর। তার বাবার নাম উছলা চাকমা এবং তিনি মিয়ানমারের মংডু জেলার ডেকুবুনিয়া থানার মেদাইক গ্রামের বাসিন্দা।

বিজিবির পক্ষ থেকে সোমবার সকালে জানানো হয়েছে, আটককৃত উলাই চাকমা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তিনি আরাকান আর্মির একজন বিশ্বস্ত সহযোগী। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান আর্মির তৎপরতা বেড়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে। নিয়মিত টহল ও তল্লাশির মাধ্যমে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।

বিজিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে আরাকান আর্মির গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে এবং সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া গেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সীমান্তবাসীর মধ্যে এ ধরনের তৎপরতা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত এলাকা সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে বিজিবির কঠোর নজরদারি এলাকায় কিছুটা স্বস্তি এনেছে।

ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।