কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার পুলিশ Saturday (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা ৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের আজিজ মেম্বারের বাড়ি থেকে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিস মেম্বারকে গ্রেফতার করে। আনিস মেম্বার (৩৮) এ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গ্রামীন সদস্য এবং রসুলপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, আনিস মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী এবং জমি জবরদখলসহ একাধিক মামলার নথিভুক্ত রয়েছে। গত স্ববিরোধী আন্দোলনে তিনি একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক রুবেল নামে এক নেতাকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজ ও স্থির ছবির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রুবেল হত্যা মামলায় আনিস মেম্বার এজাহারে নাম না থাকলেও তদন্তে তাকে মূল আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫ আগস্ট তাকে পলাতক ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে কাটাচ্ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। অভিযানে তার পাশে কাউকেই পাওয়া যায়নি, যা ধারণাকে আরও পোক্ত করেছে যে এই ঘটনায় তার একক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।
গ্রেফতারের পর আনিস মেম্বারকে দেবীদ্বার থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, “ভিডিও ফুটেজ ও ফটোতে আনিসকে সনাক্ত করা গেছে, সে রুবেল হত্যায় জড়িত ছিল।” তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর আনিসের বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলাগুলোতেও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া সে ইয়াবা কারবার, চাঁদাবাজীতে সংশ্লিষ্ট এবং স্থানীয়দের জমি দখলে রাখার অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলার ফাঁকে ছিল। পুলিশ অভিযান চলাকালে সন্দেহভাজন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হতে পারে বলে জানিয়েছে থানা কর্তৃপক্ষ।
গ্রেফতার বাতলে এলাকাবাসী বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে জীবন কাটিয়ে আসছিলেন রসুলপুরের সাধারণ মানুষ। অনেকে বলেন, আনিস মেম্বারের নিষ্ঠুর তৎপরতা বন্ধ হলে এলাকার শান্তি ফিরে আসবে।
此次 গ্রেফতারের পর স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ আরও অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এলাকাবাসী আশা করছে, এই ক্যাসটি অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে নিস্পত্তি হবে এবং অপরাধীদের ফেরার্জিত দণ্ড নিশ্চিত হবে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার পরবর্তীতে গ্রেফতারের কার্যক্রম তদারকি করবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। প্রশাসন বলেছে, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে এবং কেউ অবাধে অপরাধ করতে পারবে না।