পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অর্থবিত্তের জোরেই বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা এখনো শহরে অবস্থান করছেন, আর ছাত্রলীগের মাঝারি ও ছোট পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বাসা-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে প্রায় আট মিনিটের ওই লাইভে বাদল দাবি করেন, যারা ছাত্রলীগের প্রকৃত মাঠের কর্মী, তারাই বরাবর নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অথচ যারা এলজিইডি, পিডব্লিউডি কিংবা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সব সময় কেন আমাদের মতো ছাত্রনেতাদের উপর হামলা হবে? আমরা কি রাজনীতি করে একটাও টাকা ইনকাম করেছি? বরং নিজেদের খরচে মিছিল করেছি, ব্যানার বানিয়েছি। প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ছাড়া কেউ তো ছাত্রলীগ থেকে কিছুই পায়নি।’
বাদল আরও বলেন, বড় বড় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ নেতাদের বাসায় কোনো হামলা হয়নি। অথচ তিনি ও তার মতো অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক রয়েছেন।
লাইভে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা কোটি কোটি টাকা কামাইছেন, তাদেরকে প্রশ্ন করেন। তাদেরকে হয়রানি করেন। আমাদের মতো বাচ্চাদের উপর কেন হামলা?’
বাদলের বক্তব্যে উঠে আসে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অবহেলার চিত্র। তার দাবি, আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় সামনে থেকেও তাদের কোনো স্বীকৃতি কিংবা নিরাপত্তা নেই।
এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ এ নেতার অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন ও আলোচনা শুরু হয়েছে। মূলধারার নেতারা শহরে অবস্থান করলেও মাঠের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেই অভিযোগ উঠছে।