জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ভোকেশনাল পর্যায়ের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে ১৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নকলের ঘটনায় দায়িত্বরত তিনজন শিক্ষককে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ঘুঘুমারী মির্জা আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরীক্ষা চলাকালীন নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম। সেসময় তিনি নিজ চোখে দেখতে পান, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বই, চিরকুট ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছে।
ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটিকে জানানো হলে, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে ওই পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্ব পালনকারী তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এ ঘটনায় পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম বলেন, "আমরা পরীক্ষার নিরপেক্ষতা রক্ষা ও নকল রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।"
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রেই তদারকি বাড়ানো হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এমন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ শুধু পরীক্ষার মান রক্ষা করবে না, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সততা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করবে। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকেও নিজের দায়িত্ব নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
