প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ২১:১৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে মৌসুমের সপ্তম চা নিলামে বিক্রি কমে গেছে। বুধবার সকালে খাঁন টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এ নিলামে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কেজি চা তোলা হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়নি। বায়াররা জানিয়েছেন, সরকারের দ্বিতীয় দফা মূল্যবৃদ্ধি এবং চায়ের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই এ ধস নেমেছে।
নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়েছে গ্রীনলিফ চা বাগানের গ্রীন টি, প্রতি কেজি ১ হাজার ৪৫০ টাকায়। অন্যদিকে ন্যাশনাল টি কোম্পানির পার্থখলা ও প্রেমনগর বাগানের ব্ল্যাক-টি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৭১ টাকায়। নতুন মূল্য নির্ধারণে সরকার সিলেট ও চট্টগ্রামের চায়ের দাম ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ২৪৫ টাকা এবং পঞ্চগড় অঞ্চলের সমতলের বাগানের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করেছে, যা বাজারে চাপ তৈরি করেছে।
বায়ারদের অভিযোগ, চায়ের বর্তমান গড় মূল্য ২৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হওয়ায় নিলামে আগ্রহ কমেছে। আগের ৬ষ্ঠ নিলামে পাঁচটি ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে ১ লাখ ১৪ হাজার কেজির বেশি চা তোলা হলেও বিক্রি হয় মাত্র ২১ হাজার ৫৮৯ কেজি, অবিক্রিত থেকে যায় ৯ হাজার ২২৮ কেজি।
চা বাগান মালিকরা জানান, চায়ের গুণগত মান উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার সঙ্গে উৎপাদক ও বিক্রেতাদের সমন্বয় থাকা জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বায়ারই চা না কিনে ফিরে যাচ্ছেন, যার প্রভাব সরাসরি চা শিল্পে পড়ছে।
এদিকে নিলামকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতের নিলামগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। চা চাষি থেকে শুরু করে বায়ারদের স্বার্থ রক্ষায় নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সবার যৌথ প্রচেষ্টায় শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পে নতুন গতি ফিরবে বলে মনে করছেন অনেকেই।