বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশে লুটতরাজ করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকালে উলিপুর বিএনপি’র আয়োজনে গুঞ্জন কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার কথায়, জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা এখন ফিরে এসেছে, যা ২০০৯ সালের পর ছিল না।
আব্দুল খালেক আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি একে একে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়া, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, এবং ৯০ সালের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করেন।
তিনি মন্তব্য করেন, ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, দেশের স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদান রয়েছে। তার কথায়, দেশে দুর্ভিক্ষ এবং লুটপাটের কথা স্মরণ করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালে দেশের দুরবস্থা ছিল, এবং সেই সময় দেশ খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিল।
আব্দুল খালেক বলেন, সেই দুর্ভিক্ষের থেকে দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজ করেছিলেন শহীদ জিয়া। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিএনপির নেতৃত্বের ইতিহাস এবং দেশের জন্য তাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার শুধুমাত্র লুটপাটের মাধ্যমে দেশ চালাচ্ছে এবং দেশের জনগণকে দুর্ভোগে ফেলেছে। এই অবস্থার বিরুদ্ধে মানুষ একত্রিত হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আবারও সংগ্রাম করবে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিবসহ আরও অনেকে।
সম্মেলনে বক্তারা দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে বলেন, দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রয়োজন জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন যুব, ছাত্র এবং কৃষক দলের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন, যারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তাদের মতে, দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
এ ধরনের আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে উলিপুরের স্থানীয় জনগণও দেশের জন্য পরিবর্তন আনতে প্রেরণা পায়।