দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীসহ সংগঠনের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জন্য অন্যতম আনন্দের দিন হলো ঈদুল ফিতর। এটি আনন্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার সুযোগ করে দেয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশাপাশি কিছু ঈমানদার, মুত্তাকী ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন ঈদ উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক সহায়তা, ইফতার ও সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। এ উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন, সমাজের সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধু আনন্দের উৎসব নয়, এটি ত্যাগ ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। ঈদের প্রকৃত শিক্ষা হলো অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই যেন ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে, সেটাই হওয়া উচিত সবার লক্ষ্য।
তিনি মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, বর্তমান বিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তাই আমাদের উচিত তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই প্রকৃত শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। ঈদুল ফিতর হোক সেই অঙ্গীকারের সময়। সমাজের প্রত্যেককে তাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে, তবেই সমাজে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি সবাইকে ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঈদ হোক আত্মশুদ্ধি, সংযম ও পরিশুদ্ধতার প্রতীক। সবাই যেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেই কামনাই করেন তিনি।
তিনি দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বলেন, দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঈদের আনন্দ যেন কেবল শহর কেন্দ্রীক না থাকে, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝেও তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
পরিশেষে তিনি সকলের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করে বলেন, ঈদ সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও শান্তি। তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "ঈদ মোবারক।"