প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:৩৮
পটুয়াখালীর চরপাড়া ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদ্রাসার পশ্চিম পার্শ্বে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২২টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয় এবং বসতঘরসহ বেশ কিছু দোকান পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মোতাহার আকন, মোস্তফা আকন, হারুন আকন, মনির আকন, উজ্জ্বল শীল, লিলি বেগম, আবুল, রাসেল, হুমায়ুন, জসিম, আকলিমা, রিয়াজ আকন, পারভীন, কহিনুর বেগম, লুৎফা বেগম, মাকসুদ, খলিল খান, জাফর খান, মরিয়ম, শ্যামল, সন্ধ্যা ও রিনা রানী রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই বসতঘর ও দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়। পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে দুটি স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে এবং আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সান্ত্বনা দেন এবং সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টিসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
স্থানীয়রা জানান, আগুনে তাদের ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। নিঃস্ব হয়ে পড়া পরিবারগুলোর আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।