আশুলিয়ায় ফলের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

সাভারের আশুলিয়ায় ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বাইপাইল মোড় এলাকায় আড়ৎ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রায় চার শতাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেন। তারা ফলকে বিলাসী পণ্য হিসেবে না দেখে সহজলভ্য রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।  

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফল নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, এটি বিলাসবহুল পণ্য নয়। ফলে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষও আগের মতো সহজে ফল কিনতে পারছে না। যদি দ্রুত বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।  

সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন জানান, বাইপাইল আড়ৎ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিতে ১২শ’র বেশি ফল ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের অনেকেই নতুন শুল্কের কারণে লোকসানে পড়েছেন। তিনি বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পাইকারি বাজারেও বিক্রি কমে গেছে, যা পুরো ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।  

সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, সাধারণ মানুষ এখন আগের মতো সহজে ফল কিনতে পারছে না, যার ফলে বিক্রি অনেক কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন এবং অনেকেই এই ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি সরকারকে দ্রুত শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান, না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।  

ব্যবসায়ীরা জানান, তারা কোনোভাবেই শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। তাদের দাবি, এই শুল্ক প্রত্যাহার না করা হলে দেশের ফলের বাজার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এর প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে।  

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীদের হাতে নানা ধরনের ফেস্টুন দেখা যায়, যেখানে ফলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা বলেন, সরকার যদি দ্রুত এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে, তাহলে তারা বড় পরিসরে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।  

স্থানীয়রা জানান, ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। আগে যেখানে অনেকেই নিয়মিত ফল কিনতেন, এখন তা সীমিত হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং বিক্রির হার কমে যাচ্ছে।  

ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তারাও এই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। তারা মনে করেন, ফলের দাম কম থাকলে তা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়ক হবে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরকার তাদের দাবির প্রতি দ্রুত সাড়া দেবে এবং শুল্ক প্রত্যাহার করে বাজারকে স্থিতিশীল করবে।