প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩৯
ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে হিলি সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা একে অপরকে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এই সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি হিলি সিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন এবং বিএসএফের ১৫১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ইন্সপেক্টর শ্রী অশোক কুমার একে অপরকে মিষ্টি উপহার দেন। উভয় বাহিনীর নারী ও পুরুষ সৈনিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সীমান্তে দুই বাহিনীর মধ্যে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএসএফ আমাদের মিষ্টি উপহার দিয়েছে, আমরা তাদের মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সীমান্তে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে এই ধরনের সৌজন্য বিনিময় প্রথা বহু বছর ধরে চলে আসছে।'
তিনি আরও বলেন, 'দুই দেশের জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবে এই ধরনের শুভেচ্ছা বিনিময় সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দুই বাহিনী তাদের কর্তব্য পালন করতে পারে, এমন পরিবেশ তৈরি করতেই এই ধরনের বিনিময় করা হয়।'
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে সীমান্তের দুই পাশের সৈনিকরা জাতীয় উৎসবগুলিতে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক বছর ধরেই হিলি সীমান্তে এমন প্রথা চলে আসছে, যা দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে হিলি সীমান্তে শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই রেওয়াজের মাধ্যমে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীরা আরও একবার তাদের পেশাদারিত্ব ও মানবিকতা প্রদর্শন করলেন। সীমান্তে মিষ্টি উপহার দেওয়ার এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করলেন যে, সীমান্তে সংঘর্ষের বদলে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বই তাদের প্রাধান্য।
এ সময় সেখানে উপস্থিত উভয় বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে একে অপরের সঙ্গে মিষ্টি উপহার বিনিময় করতে পেরে আনন্দিত হন। তারা আশা করেন, ভবিষ্যতেও এমন সৌজন্য বিনিময় অব্যাহত থাকবে এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
এছাড়া, বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের কর্মদক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারা বলেন, সীমান্তে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা বজায় রাখতে এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও গুরুত্ব বহন করে।
হিলি সীমান্তে এই ধরনের সৌজন্য বিনিময় ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবে, এমনটি আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা ও একে অপরকে সম্মান জানানো দুই দেশের সৈনিকদের মধ্যে এক ধরনের প্রগাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করবে, যা দীর্ঘদিন ধরে বহাল থাকবে, এমনটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, এই ধরনের সৌজন্য বিনিময় সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে, যা দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।