প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৩:৫২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা গায়ের জোরে, পুলিশ দিয়ে, রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে যে নির্বাচন করেছে জনগণ তা চায়নি। এজন্য সাধারণ মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে। দেশের জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলমান থাকবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে, দেশকে বিভাজন করেছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজাতে মাঠে নেমেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি, ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। বিএনপি একদলীয় শাসনের পরিবর্তন চায় একটিমাত্র কারণে, বাংলাদেশের মানুষ কখনো একদলীয় শাসন বরদাস্ত করেনি, করবে না। তারা দেশকে বিভাজন করছে, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার জনগণের নয়। তারা ভারত, চীন, রাশিয়ার সরকার। তাই আমরা এই সরকারকে মানতে বাধ্য নই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অবৈধ ও ডামি’ বলে আখ্যা দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এ সময় বর্তমান সংসদকে বাতিল, নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে আগামী মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মহানগর, থানা, জেলা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দেন তিনি।
৭ জানুয়ারি মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনে ৭ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দেয়নি। শেখ হাসিনা দেশের ৭ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর তারেক রহমান ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।