প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২২, ১:১৬
খেলাপিদের বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার পরও বছর ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। টাকা অঙ্কে যা ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ হাজার কোটিই বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও না বাড়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কাগুজে কলমে খেলাপি কমাতে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিত করাসহ কিস্তি না দিয়েও খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা দেয়া হয়েছিলো খেলাপিদের।
তবে এতসব সুবিধা দেয়ার পরও দেশের ব্যাংকখাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২০ সাল শেষে খেলাপির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছর শেষে দাড়ায় ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নতুন খেলাপি ঋণের মধ্যে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকে। বিপরীতে সরকারি ব্যাংকে বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে তা বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২০ শতাংশ।
২০২১ সালে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের স্থিতি দাড়িয়েছে ১৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার অযুহাতে বাড়তি সুযোগের অপব্যবহার করেছেন অনেকে। এ কারণেই বেড়েছে খেলাপির পরিমাণ।