প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ২২:২
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন হায়দার বলেছেন, যারা মাক্স ব্যবহার করবেন না তাদেরকে কোন সেবা দেওয়া হবে না এবং ব্যবসায়ীদেরকে সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি। এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতা কামনা করে আরো বলেন আজ থেকে আমরা মাক্স বিতরন ও প্রচার-প্রচারনার কার্যক্রম শুরু করেছি। শিঘ্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলস্থানে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। আমাদের কার্যক্রম জিরোটলারেন্স থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে (অমিক্রন) করোনা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম উদ্বোধনী পথসভায় পথচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনামা রয়েছে শুরুতেই কারো প্রতি আইন প্রয়োগ না করে প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরিশাল নগরী সহ প্রত্যেকটি উপজেলার সাধারন মানুষকে করোনা ও অমিক্রন থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরে সচেতনমূলক প্রচার-প্রচারনা করার পাশাপাশি আমাদের পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হবে। বরিশালের মানুষ সচেতন তাই তারা নিজেকে রক্ষা করবেন এবং সেই সাথে অপরকে সু-রক্ষায় সহযোগীতা করবেন। মাক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিগত করোনার সময় মেডিকেলে রোগী রাখার জায়গা দিতে চিকিৎসক ও প্রশাসনের বেগ পেতে হয়েছে। এবার আমরা আগে থেকেই নিজেরা সচেতন হয়ে সেই স্থানে যেতে চাই না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুর রহমান খান, নেজারত ডিপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাজমুল হুদা সহ জেলা প্রশাসন দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পথচারিদের মাক্স পরিয়ে দিয়ে করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন। এনডিসি নাজমুল হুদা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রুপাতলী বাস টারমিনাল সহ নগরীর বিভিন্নস্থানে প্রায় ৮হাজার মাক্স বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে অমিক্রন ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্ত লঞ্চ যাত্রার ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয়নি। আগের মতই যাত্রী বহন করা হয় বরিশালের লঞ্চগুলোতে। তবে নদী বন্দর কর্মকর্তার নেতৃত্বে মাস্ক এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার নিশ্চিতে একটি টিম কাজ করছে বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের। সরেজমিনে বরিশাল নৌবন্দরে দেখা গেছে, যাত্রীরা লঞ্চে আগের ন্যায় বসছে। এক সিট খালি রেখে বসার সিদ্ধান্ত কারর্যকর হয়নি। যেসব যাত্রীরা মাস্ক ব্যতীত লঞ্চে উঠতে যাচ্ছে তাদের একই অজুহাত ভুল করেছে বা মাস্ক ছিড়ে গেছে। আর লঞ্চ স্টাফরা বলছেন, মালিকপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া বাড়ানো বা এক সিটে দুইজন বসানোর কোন সিদ্ধান্ত তারা পায়নি।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসেনি। তবে মাস্ক ব্যতীত কাউকে লঞ্চে যাতায়াত করতে দিচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।