প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২২, ৪:৩৭
জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ভোটারদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসব আমেজ। কোন ইউনিয়নে কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন, এনিয়েও এলাকায় চলছে জল্পনা কল্পনা। উনিশ বছর পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তাই ভোটের হাওয়া বইছে এলাকায়।
শেষ (সপ্তম)ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউপির ভোট। এরআগে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার একাধিক মামলায় ১৯ বছর ধরে স্থগিত ছিল দুই ইউপির নির্বাচন। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে যাওয়ার পর গত ২৯ ডিসেম্বর দুই ইউপির তফলিস ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ খবর শুনে রীতিমত আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে দুই ইউনিয়নের মানুষের মাঝে। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ইউনিয়নজুড়ে সাধারণ ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে ভোটের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এরমধ্যে গত ১ জানুয়ারী দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। কাউন্সিলরদের ভোটে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয় ওইদিন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, তৃণমূল প্রার্থী বাছাই ভোটের ফলাফল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তবুও কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিবে, সেটাই চূড়ান্ত। এক-দুইদিনের মধ্যেই মনোনয়ন বোর্ডের সভার পর দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে তৃণমূল কাউন্সিলের ভোটে ওমর ফারুক প্রথম, জাফর আহম্মেদ দ্বিতীয়, ফরহাদ হোসেন তৃতীয়, শামিম মিয়া চতুর্থ, আসাদুজ্জামান আসাদ পঞ্চম ও জাহিদ হাসান পিয়েল ষষ্ঠ হয়। অপরদিকে মৌডুবি ইউনিয়নের কাউন্সিলে ইলিয়াস মাহমুদ শিপন প্রথম, হাসান মাহমুদ শাকুর দ্বিতীয়, ফরিদ উদ্দীন তৃতীয় ও মাহমুদ হাসান রাসেল চতুর্থ হয়।
মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৃণমূলের ভোটে যারা এগিয়ে আছেন, তারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন। কিন্তু থেমে নেই অন্যরাও। দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই নির্বাচিত হবেনÑএমনটাই প্রত্যাশা করে যে কোন মূল্যে মনোনয়ন পেতে মরিয় হয়ে উঠেছেন। জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। বেশিরভাগ মনোয়নপ্রত্যাশীরা ঢাকায় গিয়েও নেতাদের কাছে মনোনয়নের তদবির করছেন । তাই শেষ মুহূর্তে কে দলীয় মনোনয়ন পায়, এরই প্রতীক্ষায় দুই এলাকার মানুষ।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওমর ফারুক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। তৃণমূলের ভোটে আমি প্রথম হয়েছি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে মূল্যায়ণ করেছে। আশা করছি, দল আমাকে মূল্যায়ণ করবে।’ তৃণমূলের ভোটে প্রথম হয়ে মৌডুবি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইলিয়াস মাহমুদ শিপন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি এবার জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আশা করছি, দলের মূল্যায়ণ আমি পাব।’
এদিকে, ঘরে বসে নেই অন্যরাও। ক্ষমতাসীন দল ছাড়াও যারা নির্বাচন করতে চান তারা মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয়রা জানায়, যেহেতু অনেক বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ হচ্ছে তাই পছন্দের প্রার্থী ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি বেছে নেয়ার সময় এসেছে।
ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সোহাগ হাওলাদার বলেন, ওই দুই ইউয়িনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি মনোনয়ন দাখিল, ১৫ জানুয়ারি বাছাই, ২২ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন।