প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৭:৩৫
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে, অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে এখন থেকে এই নামে আর কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
সোমবার (১২ মে) সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, সভা-সমাবেশ কিংবা নির্বাচন কমিশনের কাছে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করতে পারবে না। এতে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নামে কোনো কার্যক্রম আর চলবে না, এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।"
এই সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। বিশেষত, এটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে কী ধরনের পরিবর্তন আনবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে। এর মাধ্যমে রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ইতিহাস এবং ক্ষমতার পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তবে, সরকার এখনও এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। এখনো অপেক্ষা করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে এবং কীভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্তের পর, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী ঘোষণা দিতে পারে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করবে।