প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৭:৩২
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পরিচিত। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ—এই তিন স্মৃতির কারণে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথি বৌদ্ধ ধর্মের শীর্ষ উৎসব হয়ে ওঠে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইটছড়ি মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিমলানন্দ মহাস্থবির। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে ছিলেন শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ চন্দন কীর্তি মহাস্থবির এবং শীলাচার বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্ঞান জ্যোতি মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধের জীবন দর্শন এবং তাঁর মহাত্মার শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বুদ্ধ জয়ন্তী উৎসবে শ্রীমৎ বিমলানন্দ মহাস্থবির ধর্ম দেশনা প্রদান করেন, যা উপস্থিত ধর্মপ্রাণদের জন্য এক গূঢ় শিক্ষার উপলক্ষ হয়ে ওঠে। এ অনুষ্ঠানে বুদ্ধ বন্দনা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, এবং উৎসর্গের অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়। শান্তিপুর অরণ্য কুটির উন্নয়ন কমিটির সহসভাপতি অসেতু বিকাশ চাকমা এবং উপদেষ্টা কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা (অ:) বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তৃতায় বুদ্ধের শিক্ষা এবং তা বাস্তব জীবনে অনুসরণ করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
এ অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব হলো, গৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত পূর্ণিমা তিথি সম্পর্কে বক্তারা বিশদ আলোচনা করেন। বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ—এই ত্রি-স্মৃতি আজও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক শক্তিশালী আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক। বিশ্বব্যাপী আজকের দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে উদযাপন করছেন।
এদিনের এই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উৎসবটি শুধু স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উদযাপন। এটি আমাদের মধ্যে শান্তি, সহানুভূতি ও মানবতার শিক্ষা বয়ে আনতে সাহায্য করে।