প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৭:২৩
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহরের শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন সড়কে এই হামলা ঘটে, যেখানে অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন। অভিযোগ, হামলার শিকার ব্যক্তিরা সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা ছিলেন। তাদের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা, যাদের বিরুদ্ধে অফিস দখল নিয়ে বিরোধ ছিল।
হামলার পর আহতদের মধ্যে ছিল তারকেশ্বর দেবনাথ, চৌধুরী, আমেনা বেগম, মো. সেলিম ও অভি চক্রবর্তী। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার পর অভি চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেল এবং তার লোকজন তাদের সাম্যবাদী আন্দোলনের অফিসে তালা দিয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করার জন্য মাইজদী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন, কিন্তু শহরের শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার হন।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা লাঠির আঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথসহ অন্যান্যদের আহত করেন এবং তাদের ব্যানার ও পোস্টার কেড়ে নেন। হামলার পর আহতরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানে পুনরায় হামলার চেষ্টা হয়। পুলিশের উপস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ছিল ভিন্ন। জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেল ঘটনাটির সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঢাকায় ছিলেন এবং হামলার সময় ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, সাম্যবাদী আন্দোলন কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সমবায় ব্যাংক মার্কেটের একটি দোকান দখল করতে চাচ্ছিল। যদিও তার এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ হামলার ঘটনাটি নোয়াখালীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং এটি রাজনীতির ভিন্নমুখী সংঘর্ষের এক উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।